সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : 
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। প্রদর্শনী এ প্লট পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।

বুধবার বিকেল ৩ টায় সূর্যমুখী প্লট পরিদর্শন করা হয়েছে। ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল জলিল এর ছেলে মো. তাজ উদ্দিন এ বাগান করেন। জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রনোদনা বাবত নগদ ৯ হাজার টাকাসহ সার ও বীজ প্রদান করা হয়।

কৃষক মো. তাজ উদ্দিন বলেন, ৩৬০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। এতে আনুমানিক ব্যয় হয় ৯৬ হাজার টাকা। ২৫ হাজার চারা গাছ লাগিয়েছি। এতে ভালো লাভ হবে বলে আশা করছি। বোরো বা রবি শস্যের চেয়ে সূর্যমুখীতে বেশী লাভ হবে বলে আশা করি। অগ্রাহায়ণ মাসে বীজ বপন করেছি। চৈত্র মাসে ফসল তোলা যাবে বলে আশা।

এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, জামালগঞ্জে সূর্যমুখীর প্রদর্শনী প্লটে বাম্পার ফলন হবে আশা করি। সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সস্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সফর উদ্দিন বলেন, কৃষি খাতে সূর্যমুখী চাষে বিপ্লব ঘটবে।

আমাদের আরও ৯টি প্লট রয়েছে এটা সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, সূর্যমুখী চাষে হাওরাঞ্চলে সাধারণ কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যতটুকু সম্ভব সরকারিভাবে সূর্যমুখী চাষের জন্য সহযোগিতা করা হবে।

সূর্যমুখী প্রদর্শনী প্লট দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান হতে নারী, পুরুষ ভীড় জমাচ্ছেন ও অন্যান্য কৃষকরা দেখার জন্য আসছেন। হাওরের কৃষকরা সূর্যমুখী চাষে সাফল্য আনবে আশা রাখি।

এসময় অন্যান্যদের মাধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীনা রানী তালুকদার, জামালগঞ্জ কৃষি অফিসার মো. আজিজুল হক, জামালগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মারজানা ইসলাম শিবনা, ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার, ইউপি সচিব অজিত কুমার রায় সহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও এলাকার ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।