স্টাফ রিপোর্ট:
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা পারভীন মারা গেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। ৪৯ বছর বয়সে মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, তিন কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। নিহত নাসিমার স্বামী জিন্নাত আলী মজুমদার বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য। তিনি একজন সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান। নাসিমা পারভিন নগরের সুবিদবাজারের ফাজিলচিস্ত এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঠাকুর গাঁও জেলায়।
দুপুর দেরটায় এতথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক।
তিনি জানান, করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা পারভীন করোনায় আক্রান্ত হন। গত ২৯ জুন নাসিমা পারভীন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। এর একদিন পর ১ জুলাই রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ। পরদিন গত ২ জুলাই শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তিনি শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হন। পরে ৩ জুলাই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সোমবার (৬জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার সময় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৬২ জন। আর করোনায় মারা গেছেন ৮৯ জন। এর মধ্যে ৭০জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। বাকি ১৯ জনের মধ্যে সুনামগঞ্জে সাত, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে মারা গেছেন ছয়জন করে। আর এ বিভাগে সোমবার দুপুর পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮০২ জন।
এদিকে নার্সিং কর্মকর্তা নাসিমা পারভীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি শামীমা নাসরিন ও সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক। তারা মরহুমার বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করে তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।