শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন


তাহিরপুরে বিজিবির হামলায় শিশুসহ আহত ১০ : এলাকায় উত্তেজনা

তাহিরপুরে বিজিবির হামলায় শিশুসহ আহত ১০ : এলাকায় উত্তেজনা


শেয়ার বোতাম এখানে

তাহিরপুর প্রতিনিধি:

তাহিরপুরে বিজিবি কর্তৃক ৯ বছরের শিশুকে মারধর করার ঘটনায় বিজিবি ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় নারীসহ আহত ১০। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অানতে বিজিবি কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে।

জানাযায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা লাউড়েরগড় সীমান্তের শাহআরেফিন মোকাম এলাকায় সন্ধ্যার সময় বিজিবির বি এস বির এফএস নাঈম সুমন মিয়া(৯)নামে এক শিশুকে মারধর করে গুরুত্ব আহত করে। অরে স্থানীয়রা আহত শিশুকে উদ্ধার করে লাউড়েরগড় বাজারে স্থানীয় চিকিৎসা শেষ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তী করে।
গুরুত্ব আহত শিশু উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মনাইপাড়(উত্তর মুকশেদপুর)গ্রামের বাচ্ছু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ওই শিশুটিকে কেন মারধর করা হয়েছে প্রতিবাদে এলাকার লোকজন মিছিল দিলে এসময় মিছিলে অাবারও বিজিবির হামলা করে। এবং শাহ আরেফিন মোকামের প্রায় ১০/১২ টি দোকান ঘর ভাংচুর করে। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী বিজিবির উপর চড়াও হলে ৫ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে বিজিবি। এতে বিজিবি ও স্থানীয় ও এলাকাবাসীর চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়।

আর আহতরা হলে,আল আমিন(৩০),আব্দুল জলিল,তার স্ত্রী হনুফা বেগম,শফিকুল ও তার স্ত্রী আফাজ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী, আফাজ উদ্দিন ও দোলাল মিয়া সহ প্রায় ১০ জন। অন্যান্য আহতদের নাম পাওয়া যায় নি। এঘটনায় এলাকায় বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্থানীয় বাদাঘাট ইউপি সদস্য মুস্তাফা মিয়া জানান,বুধবার সন্ধ্যার পুর্বে উপজেলা বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় সীমান্তের শাহ আরেফিন মোকাম এলাকায় জাদুকাটা নদীতে বাংলা কয়লা কুড়াতে যাওয়া শ্রমিকদের ধাওয়া করে এফ এস নাঈম ও বিজিনি সদস্যরা।
এসময় সবাই দৌড়ে পালিশে কোন শ্রমিককে ধরতে না পেরে বর্ডারহ হাট মোড়ে ৯ বছরের শিশু সুমনকে পেয়ে রাগে মাথার উপর তুলে আড়ার মেড়ে ফেলে দেয় এফএস নাইম।

এতে সুমন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় লাউড়েরগড় বাজারে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রায় ঘন্টা খানেক চেষ্টা চালিয়েও সুমনের জ্ঞান ফিরাতে না পেরে মৃত ভেবে বিজিবি উপর চড়াও হলে এফএস নাইমসহ সবাই ক্যাম্পে ফিরে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী এর বিচার ছেয়ে বিজিবির বিরোদ্ধে মিছিল শুরু করলে লাউড়েরগড় ক্যাম্পের থেকে আবারও বিজির সদস্যরা শাহআরেফিন মোকাম এলাকায় মিছিলসহ দোকান পাটে হামলা চালায় বিজিবি।

এতে বিজিবি ও স্থানীয় এলাকাবাসী মধ্যে প্রায় ঘন্টা খানেক চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় বিজিবি আত্ন রক্ষার্তে ৫ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে এবং মাজার এলাকায় ১০/১২ টি দোকানপাট ভাংচুর করে। এসময় নারীসহ ১০ জন আহত হয়। গুরুত্ব আহতদের সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ নিউজ লিখা পর্যন্ত বিজিবি ও স্থানীয় এলাকাবাসী র মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এই বিষয়ে ২৮ বিজিবি সুনামগঞ্জ অধিনায়ক মাকসুদুল আলম জানান,ঘটনাটি যে ভাবে প্রচার হচ্ছে তা না। যাদুকাটা নদীতে শ্রমিকদের দাওয়া করলে সাথে থাকা শিশু সুমন বাশেঁর সাথে আঘাত পেলে অজ্ঞান হয়ে পরে। তখন মানুষ মনে করে সে নিহত হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন বিজিরি উপর হামলা চালালে। এসময় বিজিবি আত্ন রক্ষার্তে ৫/৬রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

তবে এ ব্যপারে লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের বক্তব্য জানতে সরকারি নাম্বার ০১৭৬৯৬১৩১৩০ নাম্বারে একাধিক বার ফোন করলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।


শেয়ার বোতাম এখানে





LoveYouZannath
© All rights reserved © 2020 Shubhoprotidin