সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১১:১০ পূর্বাহ্ন


‘বিতর্কিত’ নারী কমিশন ও তার প্রতিবেদন বাতিল করতে হবে

‘বিতর্কিত’ নারী কমিশন ও তার প্রতিবেদন বাতিল করতে হবে


শেয়ার বোতাম এখানে

শুভ প্রতিদিন ডেস্ক: ঢাকায় এক সম্মেলনে দেশের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় পীর ও আলেমরা ‘বিতর্কিত’ নারী কমিশন ও তাদের প্রতিবেদন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, নারী স্বাধীনতার নামে এদেশে বেহায়াপনাকে প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা চলছে। নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সরাসরি কুরআন সুন্নাহের সাথে সাংঘর্ষিক বহু প্রস্তবনা দেওয়া হয়েছে। এটি ইসলাম ও মুসলমানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। অবিলম্বে এ বিতর্কিত কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করতে হবে। নতুবা এর ফল শুভ হবে না।

তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের মানুষ যুলুম-নির্যাতন থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল। এমনিভাবে আশা করেছিল যে, এদেশ ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পাবে। কিন্তু আজও সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি বরং এর বিপরিত বাস্তবতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মতের সামান্য ভিন্নতার কারণে ইমামকে হত্যা করা হয়েছে। বক্তারা বিতর্কিত ওয়াকফ বিল স্থগিত না রেখে পরিপূর্ণরূপে এটি বাতিল করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানান এবং অন্তরবর্তী সরকারকে জাতিসংঘের মাধ্যমে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহবান জানান। গাযার মুসলমানদের উপর ইসরাইলী নির্যাতনে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ নির্যাতন বন্ধের আহবান জানান এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

আযাদী আন্দোলনের অকুতোভয় সিপাহসালার, শহীদে বালাকোট সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর স্মরণে মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আয়োজক ছিল বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদ। সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আউলিয়ার চেতনা ধারণ করে ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এ উপমহাদেশে ইসলামের প্রচার-প্রসারে আউলিয়া কিরামের অবদান সবচেয়ে বেশি। যে সকল ওলীআল্লাহ এতদঞ্চলে দ্বীনের খিদমতে নিজেদের জীবন কুরবান করে গিয়েছেন তাঁদের অন্যতম হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)। তিনি উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক, নির্ভীক সিপাহসালার ও যামানার মুজাদ্দিদ। তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল- ঈমান, ইসলাম ও ইহসান সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের সর্বাত্মক প্রতিষ্ঠা। শিরক-বিদ’আত ও কুসংস্কার উচ্ছেদ, সর্বক্ষেত্রে সুন্নাতে নববী কায়িম, বিদেশী আগ্রাসী শক্তি ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের করালগ্রাস থেকে দেশ ও দেশের মযলুম জনতার মুক্তি, শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করে খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ (নববী আদর্শে খিলাফত) প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর জীবন-সাধনা। এ লক্ষ্যসমূহ অর্জনের উদ্দেশ্যে তিনি ‘তরীকায়ে মুহাম্মদিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের আহবায়ক মাওলানা কবি রূহুল আমীন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আল্লামা মুফতী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, ছারছীনার পীর মাওলানা শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. শমশের আলী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, সোনাকান্দার পীর মাওলানা মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, চুনতীর মরহুম পীরের ছাহেবজাদা মাওলানা আব্দুল মালেক মুহাম্মদ ইবনে দীনার নাজাত, কদমচালের পীর মাওলানা মো. আবুল কাশেম, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আ.খ.ম. আবু বকর সিদ্দীক, কুমিল্লার দারুল আমানের পীর ছাহেব মাওলানা শাহ মাহমুদ সিদ্দিকী আল কুরেশি, হবিগঞ্জের নূর মোহাম্মদপুরের পীর মাওলানা শাহ আবু তাহের মো: সালেহ উদ্দিন, ফেনীর সিরাজিয়া দরবারের পীর মাওলানা মোহাম্মদ মহিব্বুল ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর শামসাবাদের পীর মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জের এখতিয়ারপুরের পীর মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান, কুমিল্লার শিদলাইয়ের পীর মাওলানা রুহুল আমীন, প্রমুখ।


শেয়ার বোতাম এখানে





LoveYouZannath
© All rights reserved © 2020 Shubhoprotidin